বাসন্তীতে গৃহবধু খুন,অভিযোগের তীর শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধ,উধাও শ্বশুর বাড়ির লোক,তদন্তে পুলিশ।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – এক গৃহবধুকে খুনের অভিযোগ উঠলো শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।মৃত গৃহবধুর নাম কৃষ্ণা নস্কর বৈদ্য (২০)। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে বাসন্তী থানার অন্তর্গত চড়াবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়াবিদ্যা মিশনবাজার এলাকায়।ইতিমধ্যে গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত প্রায় তিন বছর আগে প্রেম ভালোবাসা গড়ে ওঠে চড়াবিদ্যার চন্দন নস্করের সাথে চুনাখালি মাষ্টার পাড়ার কৃষ্ণার সাথে। গত গ্রায় তিন বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দম্পতির বছর দেড়েকের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ বিয়ের পর থেকে প্রতিনিয়ত কৃষ্ণার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালালো স্বামী চন্দন,শ্বশুর বুদ্ধিশ্বর,শাশুড়ি গায়ত্রী,ভাসুর জয়ন্ত,দেওর নয়ন নস্কর সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিয়ত মারধরের জন্য অশান্তি হওয়ায় পরিবারের লোকজন একটি শালিসি সভার আয়োজন করেছিল। যদিও সেই শালিসি হয়নি। গত এক সপ্তাহ আগে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধু।শনিবার কৃষ্ণাদেবী বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে ফিরেছিলেন।অভিযোগ এরপর ও মেয়ের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়েছিল শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
সোমবার সকালে কৃষ্ণাদেবীর স্বামী চন্দন নস্কর শ্বশুর বাড়িতে ফোন করে তাঁর শাশুড়ি কে আমি কাজে যাচ্ছি,আপনার মেয়ে থাকলো।আধ ঘন্টা পরে আবার ফোন করে জানানো হয় আপনার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছ।
এমন খবর শোনামাত্র ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন হাজীর হয় চড়াবিদ্যায়। সেখানে গিয়ে ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন দেখতে পায় মৃতদেহ বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে এবং দড়ি ঘরের মধ্যে ঝুলছে।পাশাপাশি গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন সকলেই পালিয়ে গিয়েছে।মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
গৃহবধুর মা মমতা বৈদ্য,কাকিমা ঝর্ণা বৈদ্য এবং বাবা শ্যামল বৈদ্যে’র দাবী ‘আমাদের মেয়ে কে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে থাকলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নামিয়ে রেখে সকলে পালিয়ে গেল কেন?অভিযুক্ত স্বামী চন্দন নস্কর,শ্বশুর বুদ্ধিশ্বর নস্কর,শাশুড়ি গায়ত্রী নস্কর,ভাসুর জয়ন্ত নস্কর,দেওর নয়ন নস্করদের নামে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ওদের চরম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। যাতে করে আর একটিও এমন ঘটনা না ঘটে।
অন্যদিকে বাসন্তী থানার পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি।