মুখ্যমন্ত্রীর কোচবিহার সফর চলাকালীন তৃণমূল জেলা সভাপতি দফতরে অবস্থান আন্দোলন দলীয় এক প্রধান, চাঞ্চল্য।

0
231

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জেলায় উপস্থিত, তখন কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের কার্যালয়ের সামনে অনাস্থা প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান আন্দোলনে বসেছেন দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বড় শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা। আজ সকাল থেকে ওই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। অনাস্থা প্রত্যহার অথবা অনাস্থা নিয়ে আসার পিছনে থাকা দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত ওই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
দীর্ঘদিন থেকে কোচবিহারের গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোতে অনাস্থা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দলীয় ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁদের কোন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা নিয়ে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারপরেও একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা নিয়ে আসার ঘটনায় একাধিক দলীয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোতে অনাস্থা নিয়ে আসার প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বড় শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বিউটি বর্মণ রায়েরর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য। ওই অনাস্থা নিয়ে আসার পিছনে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় বর্মণের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই অনাস্থার পরে প্রধান বিউটি বর্মণ রায় এবং তাঁর স্বামী রবীন রায় ব্লক সভাপতি এবং জেলা সভাপতির মাথাভাঙার বাড়িতে গিয়ে ধর্নাতেও বসেছিলেন। কিন্তু তারপরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার সফরে আসেন। এবিএনশীল কলেজের মাঠে তাঁর হেলিকপ্টার যখন অবতরণ করেন, তখনও কোচবিহার শহরের গোল বাগান এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের বাড়ির সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন বড় শোল মারির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা
প্রধানের স্বামী বরেন রায় বলেন, “এর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মণের দিনহাটার বাড়িতে এবং জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের মাথাভাঙার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান আন্দোলন করেছি। জেলা সভাপতি ব্লক সভাপতিকে ডেকে ওই অনাস্থা প্রত্যহার করার জন্য নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্লক সভাপতি এখনও তা করেন নি। তাই আজ এই অবস্থান আন্দোলনে বসেছি। যতক্ষণ না কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ততক্ষণ আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বড় শোল মারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ জন পঞ্চায়েত রয়েছেন। এরমধ্যে ৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য অনাস্থা নিয়ে এসেছেন। বাকি ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য বর্তমান প্রধান বিউটি বর্মণ রায়ের সাথে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here