কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখতে এসে বিপাকে পড়লেন আলু চাষীরা,চন্দ্রকোনার নরসিংহ কোল্ড স্টোরেজের বিজ্ঞপ্তিতে মাথায় হাত চাষীদের,কোল্ড স্টোরে মার্কেটিং অফিসারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চাষীদের।

0
678

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- চলতি বছরে আবহাওয়ার চোখরাঙানির ফলে শীতের শুরু থেকেই আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষীদের। নষ্ট হয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা আলু গাছ। তবুও আবহাওয়ার প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশকিছু চাষীরা জমানো সব পুঁজি খরচ করেই মাঠে আলু চাষ করেছিল। শীতের প্রায় শেষের মুখে ধীরে ধীরে সেই সমস্ত চাষ করা আলু মাঠ থেকে তুলতে শুরু করেছে চাষীরা। মাঠ থেকে ওঠানো কয়েক কুইন্টাল আলু মজুদ করার জন্য চাষীদের ভরসা বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজ।ঠিক সেই মতই বুধবার সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার নরসিংহ কোল্ড স্টোরেজের সামনে গাড়ি ভর্তী আলুর নিয়ে হাজির হয় এলাকার চাষিরা। কিন্তু সেখানেই ব্যাঘাত ঘটে। কোল্ড স্টোরেজে তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এখনই আলু নেওয়া হবেনা এবং দেওয়া হবেনা কোল্ড স্টোরেজের বন্ধ। আর এতেই মরার উপর খাড়ার ঘা পড়েছে চাষীদের। চাষীদের মতে, মাঠ থেকে তোলা আলু দ্রুত কোল্ড স্টোরেজে মজুদ না করলে আলুতে ধরবে পচন। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে আলু চাষীরা। চাষীদের আরও দাবি, কোল্ড স্টোরেজে আলু মজুদ করতে এলে কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় সরকারি নির্দেশিকা না থাকায় এখনই তারা আলু মজুদ করতে পারবে না। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আলুচাষিরা। প্রতিকূল আবহাওয়ার ফলে শুরুতেই ব্যাপক আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে তাদের। এরপর বস্তাবন্দি আলু গুদামজাত না করতে পারলে সেগুলিও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। যদিও এক প্রকার জোর পূর্বক কয়েক কুইন্টাল আলু তারা ঢুকিয়ে দেয় কোল্ডস্টোরেজে।তবে সেই মজুদ করা আলুর এখনো পর্যন্ত মেলেনি কোন বন্ধ বা রিসিভ কপি,চাষীদের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার ধরে বার্তা দেন তিনি চাষীদের পাশে আছেন। সম্প্রতি দিন কয়েক আগে রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এসে কৃষি আধিকারিকদের সাথে কথা বলে আলু চাষে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের হাল-হকিকত খতিয়ে দেখেছিলেন। তখনো বার্তা দেয়া হয়েছিল রাজ্য সরকার সর্বদাই চাষীদের পাশে রয়েছে। তবে কেন বারবার চাষীদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে চাষীরাই। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি তুলছেন চাষীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here