মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের বাথরুমের বেসিন ভাঙ্গার অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে!

0
315

ঝাড়গ্রাম, নিজস্ব সংবাদদাতা : মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের বাথরুমের বেসিন ভাঙ্গার অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে । অবশেষে এই ধরনের আচরণ আর কখনোই করবেনা এই মুচলেখা লিখিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে যেতে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ । মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহরের ঝাড়গ্রাম রানী বিনোদ মঞ্জুরী গভমেন্ট গালস হাই স্কুলের ঘটনা । স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরুর আগে এগারোটার সময় পরীক্ষার্থীদের স্কুলে ঢোকার জন্য গেট খুলে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ । স্কুলে ঢোকার মিনিট পনেরোর মাথায় বাথরুম থেকে এক বিকট শব্দ আসে । স্কুল কর্তৃপক্ষ শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে যায় বাথরুমের দিকে । তাদের প্রাথমিক অনুমান ছিল হয়তো পরীক্ষার্থী পড়ে গিয়েছে বা কোনো অঘটন ঘটেছে । বাথরুমে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখে বাথরুমের একটি মেশিন এবং একটি জলের কল ভেঙে ফেলা হয়েছে । তারপরে ঝাড়গ্রাম ননীবালা বিদ্যালয় (উচ্চমাধ্যমিক) এবং ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠ স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় রানী বিনোদ মঞ্জুরি স্কুল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু পরীক্ষার্থীদের স্কুল থেকে কোন সদুত্তর না পেয়ে পরীক্ষার্থীদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা শেষে ছাত্রীদের ছেড়ে ছাত্রদের স্কুলের মধ্যে আটক করা হয় । স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বলে কে বা কারা এই ঘটনা করেছ তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক । তোমরা সবাই পরীক্ষার্থী পরীক্ষার্থীর মতো আচরণ করলে খুবই ভালো হয় । আরো যে বাকি পরীক্ষা গুলি রয়েছে সেই পরীক্ষাগুলি চলাকালীন আর স্কুলের ক্ষতি যেন না করে সেই কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার্থী ছাত্রদের কাছ থেকে মুচলেখা লেখিয়ে নেন রানী বিনোদ মঞ্জুরি স্কুল কর্তৃপক্ষ । রানী বিনোদ মঞ্জুরী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ডক্টর পুষ্পলতা মুখোপাধ্যায় বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে বাথরুম থেকে এক বিকট শব্দ আসে । আমাদের প্রাথমিক ধারনা ছিল হয়তো কোন পরীক্ষার্থী পড়ে গিয়েছে । কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় কিছু পরীক্ষার্থী বাথরুমের বেসিন এবং একটি কল ভেঙে দিয়েছে । বিষয়টি আমরা পরীক্ষার্থীদের স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায় । কিন্তু তাদের কাছে কোনো সদুত্তর না পাওয়া গেলে আমরা পরীক্ষার শেষে ছাত্রীদের ছেড়ে ছাত্রদের রেখে তাদের কাছে মুচলেখা লিখিয়ে নেয়া হয়েছে । যে আর যে পরীক্ষাগুলি বাকি আছে সেগুলি চলাকালীন তারা আর স্কুলের কোনো ক্ষতি করবে না ।

ঝাড়গ্রাম ননীবালা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তিপদ বিশুই বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে । কিন্তু ছাত্ররা যেন মানসিক নির্যাতনের শিকার না হয় ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here