আবদুল হাই, বাঁকুড়া :- অসাধারণ স্মৃতিশক্তির জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসনের বাসিন্দা ছোট্ট ঈশিতার। এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। খুশিতে আপ্লুত বাবা-মা ।
দু’বছরের ঈশিতার কীর্তি মুগ্ধ করে দিয়েছে সকলকে। এখনো স্পষ্টভাবে কথা ফোটেনি ঈশিতার তবুও সকলকে চমকে ঈশিতা মাজীর নাম এখন ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে। এই খুদে ১০০ টিরও বেশি দেশের রাজধানীর নাম , ভারতের সমস্ত রাজ্যের নাম ঝড়ের গতিতে বলে ফেলছে । যা শুনলে হয়তো আপনিও অবাক হবেন । শুধু দেশ বা রজ্যের নামই নয় এই খুদে কবিতা, ও কুইজেও পটু। এছাড়াও বিভিন্ন ফল , পশুপাখির নাম মুখস্থ বলে দিতে পারে ঝরঝর করে।
এই ছোট্ট মেয়েটির বাবা হরিশঙ্কর মাজী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্মরত। মা শম্পা মাজী গৃহকর্ত্রী। সেই সুত্রে তারা DVC কোলোনীতে থাকেন। প্রশ্ন জাগছে এত অল্প বয়সে এতকিছু বিষয় শিখল কী করে ঈশিতা ? বাবা-মা জানালেন, আমাদের বড় মেয়েকে আমরা যখন পড়াতাম তখন ঈশিতা সেগুলো শুনে শুনে রিপিট করতো । এবং সেখান থেকেই শিখেছে এইসব । ওকে একবার বলে দিলেই ও মনে রাখতে পারে সব।
ঈশিতার বাবা-মা খেয়াল করেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নানান রেকর্ড তৈরি করছে। তা দেখে তাঁরা তাঁদের মেয়ের এই কৃতিত্বকে তুলে ধরার জন্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে অনলাইনে আবেদন করেন। ঈশিতার বয়স যখন ১ বছর ১১ মাস মাত্র। তখন এই আবেদন করা হয়। তারপরেই এই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম ওঠে ঈশিতার। আবেদন করার পর গত মার্চ মাসে এই খুদের নাম রেকর্ড হিসেবে রেজিস্টার্ড হয় ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের খাতায়। পরে তাদের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছায় একটি সার্টিফিকেট, মেডেল সহ বিভিন্ন সামগ্রী।
মেয়ের এমন কৃতিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাবা-মা সহ তার পরিবার সহ এলাকার মানুষজন।
ঈশিতার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি আমরাও