ঝাড়গ্রাম ও জামবনিতে দুটি কর্মীসভায় সিপিএমকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাক্তার মানস ভূঁইয়া।

0
290

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম :-  বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম শহরের ডিএম হলে ও জামবনি ব্লক এর গিধনীতে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয় । ওই প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাক্তার মানস ভুঁইয়া, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্র নাথ মাহাতো, ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রশান্ত রায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা। আগামী উনিশে মে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে দলের নেতা-কর্মী ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। বুধবার ওই প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা , ব্লক ও ঝাড়গ্রাম শহরের নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। ওই দুটি প্রস্তুতি সভায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলসম্পদ ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ডাক্তার মানস ভুঁইয়া বলেন আগামী উনিশে মে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম কে মমতাময় করে তুলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। তাই ঝাড়গ্রাম এর শান্তি ও উন্নয়ন কে অব্যাহত রাখতে হবে। যারা ঝাড়গ্রাম কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তাদের মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে। সেই সঙ্গে তিনি দলীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান । সেই সঙ্গে তিনি বলেন দলে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। দলের সবাই এক হয়ে কাজ করছে ।সেই সঙ্গে তিনি তীব্র ভাষায় সিপিএমকে আক্রমণ করেন। তিনি তার ভাষণে বলেন রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের আমলে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার দুটি এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো জামবনি ,অন্যটি হলো কেশপুর। শুধুমাত্র জামবনি ব্লকে 376 জন মানুষকে খুন করেছে সিপিএম ।রক্তের হোলিখেলা চলেছিল। সেই সময় বাসুদেব ভগতের পায়ে ধরে মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়েছিল ।আর তারা এখন বড় বড় কথা বলছে। রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু আজও পর্যন্ত জামবনি ব্লকে একজন বিরোধী কর্মী-সমর্থককে খুন হতে হয়নি, ঘরছাড়া হতে হয়নি। আর সিপিএম বড় বড় কথা বলছে ।ওদের কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই। যারা মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল ,জামবনি তে মানুষ বসবাস করতে পারত না । আর এখন সিপিএম তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাই তিনি সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন আগুন নিয়ে খেলবেন না। অনেক খেলেছেন আমাদের অনেক কর্মীকে খুন করেছেন। এখন শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে জঙ্গলমহলে । তাই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে আপনারা কি করেছেন জঙ্গলমহলে তা একবার ভেবে চিন্তে দেখবেন । তাই তিনি দলীয় কর্মীদের বলেন কোনো প্ররোচনায় পা দিবেন না । মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সকলকে নিয়ে সামিল হবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here