জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ থেকে গৌড়ে শুরু হলো ৫০৮ তম ঐতিহাসিক রামকেলি মেলা ও উৎসব।

0
395

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ থেকে গৌড়ে শুরু হলো ৫০৮ তম ঐতিহাসিক রামকেলি মেলা ও উৎসব।এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেল,প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী , জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক শাশ্বতী সাহা, ইংলিশ বাজার ব্লকের বিডিও সৌগত চৌধুরী, ইংলিশ বাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ,জেলা পরিষদের কর্মধক্ষ প্রতিভা সিংহ,পুরাতন মালদার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হল ৫০৮ বছরের পুরনো মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেবের আগমনের স্মরণে মালদার গৌড়ের রামকেলি মেলা।এই মেলায় শুধু জেলার নয় দেশ বিদেশ থেকেও বহু মানুষ এই মেলায় আসেন।জানা গিয়েছে প্রায় ৫০৮ বছর আগে বৃন্দাবন যাওয়ার পথে মালদা জেলায় আসেন মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেব। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে তার বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করতে থাকেন। ঠিক সেই সময় সুলতান হুসেন শাহের মন্ত্রী সভার দুই জন শ্রীচৈতন্যদেবের শিষ্যত্ব গ্রহন করেন। পরবর্তী সময়ে তারা রূপ গোস্বামী ও সনাতন গোস্বামী নামে পরিচিত হন। তারা বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার শুরু করেন। মহাপ্রভুর স্মৃতিতে মালদার গৌড়ে রামকেলিতে প্রতি বছর জ্যোষ্ঠ সংক্রান্তিতে মেলা শুরু হয়। যেখানে দেশ বিদেশ থেকে বহু মানুষ এই মেলায় ছুটে আসেন। মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনিক ভাবে শুরু হয় রামকেলি মেলা। মেলার উদ্বোধন করেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি আবু তৈয়ব মোহাম্মদ রফিকুল হোসেন ও জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া
।রামকেলি এলাকায় চৈতন্যদেবের মূর্তিতে মাল্যদান করে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় মেলার।সরকারিভাবে তিনদিনের মেলার অনুমতি থাকলেও মেলা চলে প্রায় সাত দিন ধরে। দূরদূরান্ত থেকে মেলায় ছুটে আসেন ভক্তরা। অন্যদিকে বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মেলায় দৃষ্টি আকর্ষণ করে মৃদঙ্গের দোকান। এর পাশাপাশি তীব্র গরমে ভেড়ার লোমের তৈরি কম্বল কিনতেও দেখা যায় দর্শনার্থীদের। হাজার হাজার বছরের স্মৃতিসৌধ ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে গৌড়ের রামকেলি এলাকায় বহু নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মেলার পাশাপাশি দর্শনার্থীরা সেই ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতেও ভিড় জমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here