বেতন বৃদ্ধির ও কম্পিউটার বিষয়কে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে ডিআই অফিসে ডেপুটেশন আইসিটি কম্পিউটার শিক্ষকদের।

0
215

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: উপযুক্ত বেতন কাঠামো সহ বেতন বৃদ্ধির ও কম্পিউটার বিষয়কে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিকে সামনে রেখে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ডেপুটেশন দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল আইসিটি কম্পিউটার শিক্ষকরা। এদিন ওই কম্পিউটার শিক্ষকরা কোচবিহারের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের করণে ডেপুটেশন প্রদান করেন। আজ তারা কোচবিহার দেবীবাড়ি থেকে মিছিল করে সাগরদীঘির পাড় হয়ে ডিআই অফিসের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান। এদিন ওই ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন ওয়েস্ট বেঙ্গল আইসিটি স্কুল কো-অডিনেটর ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কোচবিহার জেলা কমিটির সভাপতি প্রদীপ রায়, সম্পাদক দীপু দাস সহ অন্যান্যরা।
তাদের দাবি, উপযুক্ত বেতন কাঠামো সহ বেতন বৃদ্ধির এবং কম্পিউটার বিষয়কে সিলেবাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানান তারা। এই নিয়ে আগেও তারা জেলাশাসকের করনে স্মারকলিপি প্রদান করেছিল কিন্তু তাদের সেই দাবি এখনো মেনে নেওয়া হয় নি বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
পাশাপাশি তারা আরও দাবী করেন, গত বছর জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকার তাঁদের চুক্তিভিত্তিক কর্মীর স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু কোনও বেতন কাঠামো তৈরি হয়নি। এর আগে বেসরকারি এজেন্সি থেকে তাঁরা যা বেতন পেতেন, সরকারও দেড় বছর ধরে সেই ৮ হাজার টাকাই বেতন দিচ্ছে। কিন্তু দু বছর ধরে বেতন কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয় নি। পাশাপাশি, যেহেতু প্রত্যেক স্কুলে কম্পিউটার বিষয়কে অপশনাল হিসেবে রাখা হয়েছে। সেই কারনে বেতন বাবদ একজন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। আবার কোচবিহার শহরের এমন স্কুল আছে যেখানে অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক গিয়ে বিনে পয়সায় কম্পিউটার বিষয়ে ক্লাস করায়। তাই আমরা চাইছে যে প্রত্যেক স্কুলে কম্পিউটার বিষয়কে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করে একজন পার্মানেন্ট বা স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হোক।

এই বিষয়ে কোচবিহার জেলা কমিটির সভাপতি প্রদীপ রায় জানান, বহুদিন ধরেই আমরা বিভিন্ন স্কুলে আইসিটি বিষয়ে ছাত্রদের ক্লাস করাচ্ছি। কিন্তু নিয়োগের পরে আমাদের বেতন একই রয়ে গেছে। এই নিয়ে আমরা দুই বছরে অনেক আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোন সুরাহা মিলেনি। আজ আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল আইসিটি স্কুল কো-অর্ডিনেটর ওয়েলফেয়ার কোচবিহার জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ডি আই সাহেবকে স্মারকলিপি প্রদান করছি। যাতে অতিসত্বর আমাদের মাসিক বেতন বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে বাজারের যে দর চলছে তাতে কারো পক্ষেই ৮০০০ টাকা বেতন চাকরি করা সম্ভব নয়। আমরা এর আগেও স্মারকলিপি প্রদান করেছি কিন্তু কোনো সদুত্তর পায়নি। আজ আবারো আমরা ডি.আই সাহেবের উপর আস্থা রেখে স্মারকলিপি প্রদান করছি। তিনি যদি এর কোনো সুরাহা বা বিচার না করেন তাহলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে আমরা শামিল হবো।