প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া: – ঘটনাটি ঘটে সাঁকরাইল থানা অন্তর্গত ঝোরহাট বাসুদেবপুর হাটগাছা এলাকার বাসিন্দা তারক মালিকের একমাত্র কন্যার সঙ্গে । প্রিয়াঙ্কা মালিক(দেবনাথ)। বিয়ে হয় পাঁচপাড়া রাধা দাসীর বাসিন্দা বাপন দেবনাথ এর সঙ্গে। মাত্র সাত মাস হয়েছে তাদের বিয়ে হয়েছে। পড়াশোনা করত মেয়ে হাওড়া কলেজে এমনই জানালেন প্রিয়াঙ্কার বাবা। গত ২ আগষ্ট তারিখে চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় তারপর আর বাড়ি ফেড়েনি। বেলা গরিয়ে যাওয়ার পরে প্রিয়াঙ্কার বাবা সাঁকরাইল থানায় মিসিং ডাইরি করে। সেই ২ তারিখ থেকে এখনো পর্যন্ত বাবা খুজে যাচ্ছেন মেয়েকে শিয়ালদা, দত্তপুকুর, রানাঘাট বিভিন্ন জায়গায় মেয়ের ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে খুঁজে বেড়াচ্ছন। সূত্রের খবর বেশ কিছুদিন আগে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ফেসবুকে একটা বান্ধবীর যোগাযোগ হয় সেই বান্ধবী তার বাড়িতেও নেই। প্রিয়াঙ্কার বাবা খোঁজ নিয়ে দেখেন যে সেই বান্ধবীর ও ফোন বন্ধ এবং তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন সেখানেও তিনি নেই। এমতাবস্থায় বিপাকে পড়েছেন প্রিয়ঙ্কার শশুর শাউড়ি। বৃদ্ধ বৃদ্ধার কাছে প্রিয়ঙ্কাই একমাত্র মেয়ের মতন বৌমা তাই আবেগ ধরে রাখতে না পেরে ঝরঝরিয়ে কেঁদে ফেললেন ক্যামেরার সামনে। এমতাবস্থায় প্রিয়াঙ্কার বাবা এবং মা কি করবেন খুঁজে পাচ্ছেন না। যদি থানা থেকে স্টেপ নেওয়া হয় তাহলে হয়তো তার মেয়ের হদিস পাওয়া যাবে এমন অভিমত প্রিয়াঙ্কার বাবা। দুই বাড়ির চোখে ঘুম নেই প্রিয়াঙ্কার বাড়ি ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন বাবা মা।
