রাখি বন্দন উৎসব কে সামনে রেখে সকল স্তরের মানুষকে নিয়ে রাখি বন্ধন উত্‍সব পালন করলো ভারতীয় জনতা পার্টির কালিয়াগঞ্জ শাখার পক্ষ থেকে ।

0
183

উঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বাঙ্গালীদের কাছে রাখি কেবলই ভাই বোনের মধ্যে আবদ্ধ নয় এছাড়া ধর্মীয় ও সামাজিক গণ্ডি পেরিয়ে রাখি কে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও জায়গা দিয়েছে বাঙালি। আর বাঙালির এই রাখি বন্ধন প্রসঙ্গে উঠে আসবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় ভাইয়ের হাতে বোনেরা রাখি বেঁধে দেন। মূলত ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় এই রীতি চলে আসছে। ও বাঙ্গালীদের কাছে রাখি বন্ধন রক্ষা বন্ধন নামেও পরিচিত। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করতে রাখি কে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই বছরেই ২০ শে জুলাই ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের কথা ঘোষণা করে। জানানো হয় এই আইন কার্যকরী হবে 1905 এর 16 অক্টোবর বাংলা ৩০ শে আশ্বিন। সেই সময়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় মানুষ সামিল হয়।। ঠিক হয় ঐদিন বাংলার মানুষ পরস্পরের হাত বেঁধে দেবেন হলুদ সুতো বাঁধবেন। এই দিনকে মিলন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অন্যদিকে কবিগুরু এই দিনটিকে রাখি বন্ধন উৎসবে পালন করার ডাক দেন বাংলায় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রতি ও সৌ ভ্রাতৃত্বকে ফুটিয়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেদিন থেকে রাখি বন্ধন উৎসব সম্প্রীতি যেভাবে জায়গা করে নিয়েছিল আজও তা অটুট বন্ধনে পরিলক্ষিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই রাখি বন্ধন উৎসব নিয়েই গান লিখেছিলেন বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল। পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক , হে ভগবান।
আজ সেই রাখি বন্দন উৎসব কে সামনে রেখে সকল স্তরের মানুষকে নিয়ে রাখি বন্ধন উত্‍সব পালন করলো ভারতীয় জনতা পার্টির কালিয়াগঞ্জ শাখার পক্ষ থেকে । বিজেপি মহিলা মোর্চা উদ্যোগে পালিত হলো এই রাখি বন্ধন উত্‍সব। এদিন সুকান্ত মোড় এলাকায় এই রাখি বন্ধন উত্‍সব কে কেন্দ্র করে পথ চলতি মানুষদের রাখির পড়িয়ে এই উত্‍সব পালন করে বিজেপি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় এক হাজার রাখি পরানো হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,বিজেপি শহর মন্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ দাস, মহিলা নেত্রী দোলা মদক ,বর্ণালী দাস,প্রতীক দাস,গৌতম বিশ্বাস সহ আরো অনেকেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here