চায়ের দোকানে বই বিতরণ

0
269

সুভাষ চন্দ্র দাশ,বাসন্তী – বাসন্তী থানা সংলগ্ন বাসন্তী বাজার। সেখানেই রয়েছে জনৈক জহর দাস নামে এক ব্যক্তির একটি চায়ের দোকান রয়েছ।সাধারণত চায়ের দোকানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের ভিড় দেখা যায়। জহর বাবুর চায়ের দোকান টি একেবারেই বিপরীত মেরুতে। সেখানে রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের পরিবর্তে দেখা মেলে না। সেখানে প্রায় প্রতিনিয়ত দেখতে পাওয়া যায় শিক্ষক,সরকারী কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষজনদের কে।প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে চায়ের দোকানে বসে সুখ দুঃখের গল্প করার জন্য হাজীর হন তাঁরা। চায়ের দোকানের নাম পরিবর্তন হয়ে যায় সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। নাম করণ হয় কফি হাউস।সেখানে অন্যন্যদের সাথে নিত্যদিন ওঠাবসা করেন শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষক অমল নায়েক,বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক,সমাজসেবী তথা প্রাক্তন শিক্ষক প্রভুদান হালদার সহ অন্যান্যরা।সমাজ সেবা মুলক কাজের জন্য গড়ে তোলেন
চায়ের দোকানে চা চুমুক দিতে দিতে কি ভাবে সমাজে কাজ করা যায় সেই সমস্ত বিষয় আলোচনা হয়। গত কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন দুই শিক্ষক বাসন্তীর নেতাজী পাঠাগারের লাইব্রেরিয়ান তাপস পালের কাছে জানতে পারেন স্থানীয় বাসন্তী উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সৌম্যজিৎ পাল চরম দারিদ্রতার মধ্যে রয়েছে। পড়ার বই কিনতে পারছে না।এমনটা জানতে পেরে প্রাক্তন দুই শিক্ষক চিন্তা করেন,প্রতিভার অবলুপ্তি হতে দেবেন না।যেমন ভাবা তেমন কাজ।বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানেই সৌম্যজিত কে ডেকে পাঠান তাঁরা।বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকের ডাক পেয়ে ভয়ে ভয়ে চায়ের দোকানে হাজীর হয় ওই ছাত্র। সেখানে ওই ছাত্রের হাতে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রয়োজনীয় পাঠ পুস্তক তুলে দেয় প্রাক্তন দুই শিক্ষক।
আচমকা নিজের স্কুলের প্রাক্তন দুই শিক্ষকের কাছ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পেয়ে ওই ছাত্রের দু চোখ বেয়ে নেমে আসে অশ্রু।
প্রাক্তন শিক্ষক প্রভুদান হালদার জানিয়েছে ‘কয়েকদিন আগে জানতে পারি অভাবের তাড়নায় বইপত্র কিনতে না পেরে পড়াশোনা বন্ধ হতে বসেছিল ওই ছাত্রের।বেঁচে থাকতে প্রতিভার অবলুপ্তি হবে,এমনটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল।স্থানীয় স্বাগতা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ছাত্রের হাতে প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে। আগামী দিনেও ওর পাশে রয়েছি আমরা সকলে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here