যাতায়াতের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত ট্রেন দাঁড়ানোর দাবী নিত্য যাত্রী ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের।

0
810

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের মাতলা ষ্টেশনে ট্রেন চালু হয়েছে। আগে নামকরণ করা ছিল চাঁদখালি হল্ট।গত ১৫ অগাষ্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন ষ্টেশনের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে মাতলা হল্ট ষ্টেশন।স্বাধীনতা দিবসেই মাতলা ষ্টেশন তার ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে।ওই দিনই শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
নতুন ষ্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় সুবিধা হয়েছে হাজার হাজার নিত্য ট্রেনযাত্রী থেকে শুরু করে এলাকার স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের।
ষ্টেশন দিয়ে সারা দিনে আপ ও ডাউন মিলিয়ে মোট ৮ ট্রেন ষ্টেশনে দাঁড়াবে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্বরেল।সেই সুচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
নিত্য ট্রেনযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা খুশি হলে ও তাদের দাবী অন্যান্য ষ্টেশনের মতো সম্ত ট্রেন যদি মাতলা হল্ট ষ্টেশনে থামে তাহলে আশাদের যাতায়াতের সুবিধা হবে। তা না হলে চাতকের মতো অধীর অপেক্ষায় ষ্টেশনে বসে থাকতে হবে।
নিত্যযাত্রী অনিল সরদার,বৃহষ্পতি মন্ডল,পুলক নস্করদের দাবী সকাল ৯ টার পর বিকাল ৫ টায় আপ ট্রেন রয়েছে।লাভ কি তাতে?কেউ যদি কলকাতায় যায় প্রয়োজনের তাগিদে কিংবা হাসপাতালে যায়,তাকে তালদি কিংবা ক্যানিং থেকে ট্রেন ধরতে হবে।ফলে মাতলা হল্ট ষ্টেশন হলেও ভোগান্তী থাকছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য সমস্ত ট্রেন মাতলা ষ্টেশনে থামলে একদিকে যেমন যাত্রীদের সুবিধা হবে,তেমন রেল ও লাভবান হবে।
অন্যদিকে স্থানীয় বঙ্কিম সরদার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মৌমিতা কয়াল,সুবোধ সরদার,মণিমালা সা দের দাবী ‘মাতলা হল্ট ষ্টেশনে সমস্ত ট্রেন দাঁড়ালে আমাদের মতো ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।বিশেষ করে কলেজের পরীক্ষার সময়।অনেক সময় ১ টা থেকে পরীক্ষা থাকে। সেই সময় কোন ট্রেন নেই।আমাদের কে ঘুরপথে তালদি কিংবা ক্যানিং ষ্টশনে নেমে কলেজ যেতে হবে।