বর্ধমান পুরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট এবং পুকুর নোংরা আবর্জনা স্তুপে পরিণত হয়েছে।

0
199

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- বর্ধমান পুরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট এবং পুকুর নোংরা আবর্জনা স্তুপে পরিণত হয়েছে।এই পুকুরটি তৎকালীন প্রাক্তন পৌরপতি সুরেন মন্ডল 1997 সালে পাঞ্জাবিপাড়া দুর্গা মন্দির সামনে উদ্বোধন করেছিলেন।কিন্তু পুকুরটি এখন নোংরা আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।এই পুকুরটিতে চারিপাশে ডেঙ্গির আতুর ঘর তৈরি হয়ে গেছে।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ করছেন, বর্ধমান পৌরসভা কে বারবার জানিয়ে মেলেনি কোন সুরাহা। বর্ধমান পৌরসভা যদি একটু নজর দেয় পুকুরটির সংস্কারে তাহলে এলাকার মানুষ উপকৃত হন। যদি এলাকায় কোন
রাতের দিকে অগ্নিসংযোগ ঘটে তাহলে এই পুকুর থেকে জল নিয়ে তা নেভানো যাবে।কিন্তু পুকুরটিতে জল নেই শুধু মাত্র নোংরা আবর্জনা স্তূপে পরিণত হয়েছে।
এই বিষয়ে বর্ধমান পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চায়না কুমারীর কাছে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বর্ধমান পুরসভার পৌরপতি পরেশ চন্দ্র সরকার এই বিষয়ে কোনো রূপ প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন ” জল ধরো জল ভরো” প্রকল্পের কথা বলছেন। কিন্তু ঠিক তার অন্য চিত্র বর্ধমান শহরের ৩নং ওয়ার্ডে।
এখন দেখার বিষয়, কবেই বা পৌর কর্তৃপক্ষ নজরে আসে এই বিষয়টি, কবেই বা পুকুর সংস্কারের উদ্যোগী হয় বর্ধমান পৌরসভা। এ বিষয়ে বর্ধমান পৌরসভার এমসিআইসি প্রদীপ রহমানকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা দুর্গাপুজোর সময় ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে বর্ধমান পৌরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি পুকুর ঘাট ঘুরেছি এবং ঘাট পরিষ্কার করেছি। শুধুমাত্র তাই নয় স্থানীয় কাউন্সিলার ও রোড সরকারকে নিয়ে আমরা এই কর্মসূচি করেছিলাম। শুধুমাত্র বর্ধমান পৌরসভা কে দায়ী করে কিছু হবে না মানুষকেও সচেতন হতে হবে। আমরা তো আর সারাক্ষণ ওই এলাকায় বসে থাকতে পারবো না তাই মানুষকে আগে সচেতন হতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here