পুলিশ : তোমায় সেলাম।

0
878

একাদশীর মধ‍্য রাত্র
পূর্নিমার চাঁদটা পূর্ণতা পায়নি এখনো,
আর‌ ও যে চারটা দিন——
আর যে সয়না !!
সেই ষষ্ঠির দিন থেকে মায়ের শুকনো মুখটা
তাকিয়ে পথপানে।
আগ্রহ ভরে শুধায়
অবুঝ শিশু
মা গো ——–
তুমি না বলছিলা
বাবা আসবে
আনিবে নুতন জামা
মোর লাগি
আর তোমার সুন্দর শাড়ি
আর রঙিন চুড়ি !!!
ঢাকের গুরু গুরু শব্দে
মায়ের বুকে যেন কাঁসার ঘন্টা বাজে,
একটি মাত্র সন্তান
কত‌ই না ছিল আশা
একটা লাল জামার।
অপেক্ষার দৃষ্টি ছোটে
ঐ দুরে মেঠো রাস্তার পানে।
অবুঝ শিশু মায়ের গলা জড়িয়ে বলে—-
মা গো বাবা কবে আসবে ?
বলনা তুমি
—– আজ তো একাদশী
আর ও ,হয়তো চারটা দিন ।
ক্রমে চতুর্দশী র সন্ধ্যা নেমে এলো
চারিদিকে উলু শঙ্খধ্বনি র
যুগলবন্দী
বাজি পটকার কথোপকথন
মনটা ভারি করে অবুঝ শিশুটার।
ধোঁয়ার কুণ্ডলীর পাকে
মায়ের মনটা কে টেনে নিয়ে যায় ঐ মেঠোপথে,
একটা দীর্ঘশ্বাস পাড়ি দেয়
ঐ ঝলসে উঠা রুপালি থালায় পানে
ঐ‌ দুরের নীলিমায়।
মা গো আজ ও যে আইলনা বাবা —–
কবে আসবে বলনা তুমি ।
সপ্তমী গেল, অষ্টমী, নবমী ও
দশমীর সিঁদুর খেলাও হ‌ইলনা তোমার।
দু ফোঁটা অশ্রু ঝড়িয়ে
বুকে টেনে নেয় অবুঝ শিশুকে
নিজেকে অনেক যত্ন করে সান্তনা দেয়।
আকাশের চাঁদটাও ম্লান ভুমিকায়
সাথেই প্রজ্জ্বলিত সপ্তর্ষিরা
নিজের চরিত্র নিভায়।
দায়বদ্ধতা ই তাকে আটকে রেখেছে
তাই সে তার নিজের ভুমিকায় স্তব্ধ।
দুর বিরহের গাঁথা মালা পরাবে আজ কাকে।
অবুঝ শিশুটি চঞ্চল হয়ে শুনে গল্প মায়ের মুখে
অপলকে তাকিয়ে বলে বাবা যে আমার পুলিশ !!
ইচ্ছে থাকলেও হাতে হাত রেখে
মিশে যেতে পারেনা পুজার ভিড়ে
ছলছল চোখে শিশুটাকে বুকে জড়িয়ে
বলে তোর বাবা যে পুলিশ।
বিশ্বাস তবু আসবে ঘরে
জোনাকির আলোয় পথ দিশারে
চঞ্চল রাতের প্রহর পটে
এক অভাগীর স্বপ্ন নীড়ে।

অ,চৌ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here