পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- ভোটের ময়দানে আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন দলের দলীয় প্রার্থী আমাদের কাছে এসে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করে। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না।
সেরকম একটি ছবি বর্ধমান পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় মানুষজন বলছেন,পৌর মাতাকে তো ভোটের পর আর দেখাই যায় না। এই সাত নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন পরিষেবা থেকে থেকে বঞ্চিত রয়েছেন যে সমস্ত মহিলা রয়েছে তারা বলছেন,আমরা কাউন্সিলের কাছ থেকে কোনরকম কোন পরিষেবা পাই না এবং লজ্জার বিষয় সার্টিফিকেটও কাউন্সিলর কাছ থেকে পাইনা। এই সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা গোলাপ সোনকার রয়েছেন তিনি ওয়ার্ডের কাউন্সিলের কাছ থেকে সার্টিফিকেট এনে আমাদেরকে দেয়।আমরা গরীব তাই আমাদেরকে পাত্তা দেন না পৌর মাতা।অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাপ সোনকার বলেন, মানুষজনের এই সমস্যার কথা আমাদের শুনতে হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করার চেষ্টা করছি এবং আমাদের বিধায়ক কে জানাচ্ছি তিনিও যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কিন্তু পৌর মাতা বা পৌর পিতার যা কর্তব্য ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো তা তিনি করেন না তিনি ডুমুরের ফুলের মত একবার করে উদয় হন এবং দেখা দেন। মানুষজন আমাদের কাছে এইসব অভিযোগ নিয়ে আসেন এবং আমাদেরকে তো এসব কথা শুনতে হবেই কারণ ভোটের সময় আমরাই এই পৌরমাতা মিঠু সরকারকে ভোটের সময় ওয়ার্ডে প্রচার করিয়েছিলাম পরিষেবা পাইয়ে দেবো বলে কিন্তু এখন কাউন্সিলর তো নিজেই আসে না আমরা ডাকলেও আসে না। মানুষজন বলছে আমাদেরকে শুনতে হবে এর থেকে লজ্জার বিষয় আর কিছুই নেই।
অপরদিকে সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠু সরকারকে ফোন মারফত যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,যারা এসব অভিযোগ করছে মিথ্যা অভিযোগ আমি প্রতিদিন ওয়ার্ডে যাই ও ঘুরি। মানুষকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পড়ে পরিষেবা দিচ্ছি। বাড়ি বাড়ি ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি যাতে কারোর ভায়া হয়ে আমার কাছে যেতে না হয়। আমাকেই ডাইরেক্ট বলুক। ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতারা কেন এসব বলে বেড়াচ্ছে আমি তো বলতে পারব না। কেনই বা বলছে ঠিক বুঝতে পারছি না।আমি তো প্রতিদিনই পার্টি অফিসে যাই । কিন্তু আমার মাথার উপরে আছে বিধায়ক ও পৌরসভা। আমি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করি কাজ করবো। এসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে দাবানো যাবে না।