খুনের অভিযোগের মামলা প্রত্যাহার না করায় অভিযোগকারী বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর ও শাসানির অভিযোগ উঠলো অভিযুক্তের পরিবারের বিরুদ্ধে।

0
137

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ——খুনের অভিযোগের মামলা প্রত্যাহার না করায় অভিযোগকারী বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর ও শাসানির অভিযোগ উঠলো অভিযুক্তের পরিবারের বিরুদ্ধে।মামলা প্রত্যাহারের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের সাহায্য না মেলায়।প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে ব্লক দপ্তরে সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ করে বলে দাবি মৃতার পরিবারের।
রাতের অন্ধকারে বাড়ির টিন ভাঙচুর সহ মদ্যপ অবস্থায় তান্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের পরিবারের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।মালদহের চাঁচল থানার কলিগ্রাম নিমতলার ঘটনা।মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মৃতার মাকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় বছর দুয়েক হল নিমতলার সামেদা বিবির মেয়ে রহিমা বিবির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় একটি আম গাছে থেকে।তারপরের মৃতার পরিবারের অভিযোগ ছিল,জামাই খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।এনিয়ে মৃতার পরিবার চাঁচল থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ করে।এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তার জামাইকে।এবং সাজাও হয়।কিন্তু অগ্রিম জামিন পেয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত। এরপরেই মৃতার পরিবারকে সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্তের পরিবার বলে দাবি।

পঞ্চায়েত প্রধানকে ব্যবহার করে মামলা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে।যদিও পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল খান অভিযুক্তের পরিবারে শমনে রাজি হয়নি।যার দরুন পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল খানের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পে টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ আনেন তারা।
এনিয়ে চাঁচল-১ নং ব্লক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন অভিযুক্তের বাবা আহাকাম খান।
এবিষয়ে মৃতার মা সামেদা বিবি জানান,প্রধান আমার হয়ে নিরপেক্ষ বিচারে সামিল হয়েছে।কিন্তু ওরা চাইছে প্রধানের মারফতে সেটা মিটিয়ে নেওয়া হোক।আমি ও প্রধান রাজি না হওয়ায় আমাকে হুমকি ও শাসানি দেয় অভিযুক্তের বাবা।এরপর পঞ্চায়েত প্রধানের নাম বদনাম করার জন্য ব্লক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন তার পরিবার।আমার মেয়েকে যারা খুন করেছে তাদের কঠোর শাস্তি র দাবিয়ে বেকে যায়নি।তাই তারা আমাকে ছেড়ে প্রধানের পেছনে লেগেছে।


যদিও সমস্ত রকম অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তের বাবা আহাকাম খান।তিনি বলেন,আমার ছেলে যদি খুন করে থাকে তাহলে তার বিচার আইন করবে।প্রমান হলে শাস্তি পাবে।আমার এলাকায় কাজ হয়নি তাই ব্লকে অভিযোগ করেছি।

যদিও কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খান বলেন,আমাকে লোক মারফত খবর পাঠানো হয়।আহাকাম খানের ছেলের মামলা প্রত্যাহারে সাহায্য করতে হবে।সেটি বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে তাই আমি এগোয়নি।তারপরে ওরা আমার রাজনৈতিক চরিত্র খারাপ করার জন্য ব্লকে মিথ্যে অভিযোগ করেছে।আমি প্রধান থাকাকালীন কলিগ্রাম অঞ্চলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।দুষ্কৃতিদের চক্রান্তে আমি মাথা নত করব।দলের নীতি আদর্শ মেনে মানুষের হয়ে কাজ করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here