আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে ধনদেবী কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। সৌভাগ্য, ধন- ঐশ্বর্য, আর্থিক সমৃদ্ধি লাভের আশায় বাড়িতে বাড়িতে সকলে লক্ষ্মী দেবীর পূজা করেন। পূর্ণিমা তিথিতে রাত জেগে এই পূজা করা হয় বলে এই লক্ষ্মীপূজাকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা বলা হয়। লক্ষ্মী পূজায় মৃৎশিল্পীরা প্রচুর লক্ষ্মী লাভ করেন। কিন্তু প্রতিমা না কিনে নিজের বাড়িতে প্রতিমা তৈরি করে পুজো করার অভিনব রীতি রয়েছে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের কুম্ভকার পাড়ার দাস পরিবার। এই প্রতিমা তৈরি করেন বর্তমানে দাস পরিবারের অতিথি চন্দ্রদাস প্রতিমা টি অনিন্দ্য সুন্দর, দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। যেন কোনো নিপুন শিল্পীর হাতের সৃষ্টি। দাস পরিবারে বংশপরম্পরা এই রীতি চলে আসছে।বলে জানা গেছে।বেশ জাঁকজমক সহকারে পুজো হয় দাস পরিবারে। বহুবার আর্থিক অস্বচ্ছলতা কারণেও পুজো বন্ধ হয়নি। মা লক্ষ্মীর কৃপায় ভবিষ্যতেও হবে না। দাস পরিবারে লক্ষ্মী পূজার আয়োজন বিশাল। সারা ঘর জুড়ে বাহারি রঙের আলপনা, নানা ফলমূল, লক্ষ্মী পূজার প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে পরিপূর্ণ। লক্ষ্মীর প্রসাদ রান্না তে ব্যস্ত সবাই। ধনদেবীকে যে তুষ্ট করতে হবে। ইন্দাস এলাকার সাপুরা গ্রামের খুব বিখ্যাত আর আভিজাত্যপূর্ণ পুজো এটি। পুজো উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজন আর গ্রামবাসীরা সমবেত হন দাস পরিবারে। অতিথি চন্দ্র দাস বাবু সংশয় আছেন তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পুজো চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা? দেবী লক্ষ্মী দাস পরিবার যেন ধনধান্যে পরিপূর্ণ করেন আর জনম জনম দাস পরিবারে থাকেন।