নন্দীগ্রামে গণ হত্যাকাণ্ডকে সামনে রেখে নন্দীগ্রাম দিবস পালন।

0
370

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম গণহত্যা পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামে সংঘটিত একটি গণহত্যামূলক হিংসাত্মক ঘটনা। নন্দীগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইন্দোনেশীয় সালেম গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড বা সেজ) গঠন করার উদ্দেশ্যে ১০,০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে চাইলে স্থানীয় মানুষেরা প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলন দমনের জন্য সরকার চার হাজারেরও বেশি সশস্ত্র পুলিশের একটি বাহিনী ওই অঞ্চলে প্রেরণ করে। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ কমপক্ষে তিন হাজার সশস্ত্র পুলিশ ও সিপিআই(এম)-এর বাহিনী এক সম্মিলিত অপারেশন চালায় নন্দীগ্রামে । এই অভিযানের খবর কোনোভাবে বিইউপিসির কর্ণগোচর হয় এবং তারা প্রায় ২০০০ গ্রামবাসীকে নিয়ে একটি পাল্টা প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলেন। এই বাহিনীর পুরোভাগে ছিলেন মহিলা ও শিশুরা। এই সংঘাতে প্রাণ হারান চোদ্দোজন গ্রামবাসী।প্রতিবছর এই দিনটি নন্দীগ্রামে স্মরন করা হয় শহীদদের প্রতি।সোমবার ১৪ ই মার্চ, তাই একই ভাবে নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে এই দিনটি স্মরন করা হলো।এইদিন উপস্থিত ছিলেন কুনাল ঘোষ,দোলা সেন, শহীদ মাতা ফিরোজা বিবি সহ বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার যা বলেছেন তা সাক্ষী হিসেবে আদালতে মামলা করা হবে এবং যার রাজসাক্ষী হবেন ওই দুজন, সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন কুণাল ঘোষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here